Abul Hasnat Mohammad Qamaruzzaman (আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান)



Abul Hasnat Mahound Qamaruzzaman(1926-1975) professional person, politician. He was born in 1926 in Rajshahi. He obtained BA (Hons) degree in political economy in 1945 and MA in 1946 from Kolkata University. when getting BL degree from Rajshahi University in 1956, he joined the Rajshahi district bar.

Qamaruzzaman became concerned in politics at a really early age. He became the secretary of the Rajshahi district unit of geographical area Muslim Student League in 1942, and through 1943-45 he was its vp. He joined awami league in 1956. He was nonappointive a member of the Pakistan National Assembly in 1962 and once more in 1965 below the essential Democracy system. Qamaruzzaman was the convenor of Awami League in 1967 and also the general secretary of the Party in 1970.

Qamaruzzaman resigned from the National Assembly in 1969 as a protest against the repression of the Ayub government and declared his commonness with the eleven-point demands of the Chhatra Sangram Parisad. Qamaruzzaman was a member of the Awami League delegation to the spherical Table Conference convened by President ayub khan in Rawalpindi in 1969. He was nonappointive a member of the National Assembly in 1970 from Rajshahi. Mahound Qamaruzzaman contend a significant role within the struggle for the independence of Asian nation. He was minister of Relief and Rehabilitation within the tentative government of Asian nation at Mujibnagar in 1971. 

After liberation, Qamaruzzaman was nonappointive a member of the Jatiya Sangsad from 2 constituencies in Rajshahi in 1973. He was a member of the cupboard of Bangabandhu sheik mujibur rahman throughout the amount from 1972 to 1974. He was nonappointive president of Asian nation Awami League in 1974 and consequently resigned from the cupboard. He was, however, enclosed within the new cupboard fashioned in 1975 and was placed responsible of the Ministry of trade. Qamaruzzaman was a member of the chief committee of Asian nation krishak sramik awami league (BAKSAL).

After the assassination of Bangabandhu sheik Mujibur Rahman on fifteen August 1975, Qamaruzzaman was inactive together with some senior party leaders and was unbroken confined within the Dhaka Central Jail, wherever he together with 3 alternative key Awami League leaders, Tajuddin Ahmed, Captain M Mansur Ali and Syed Nazrul Islam, were savagely killed on three Gregorian calendar month 1975.


আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (১৯২৬-১৯৭৫)
নাটোর মহকুমার বাগাতীপাড়া থানার মালঞ্চী রেলস্টেশন সংলগ্ন নূরপুর গ্রামে মামার বাড়িতে ১৯২৬ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন এএইচএম কামারুজ্জামান।

পড়াশোনাঃ পড়াশোনার শুরু রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সমাজসেবক আব্দুস সামাদ ছিলেন তার পড়াশোনার প্রেরণার উৎস।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক ছিলেন তার এক ফুপা। তিনি রাজশাহী থেকে চট্টগ্রামে বদলি হয়ে যাওয়ার সময় কামারুজ্জামান হেনাকেও সঙ্গে নিয়ে যান এবং চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি করে দেন। সেখান থেকেই ১৯৪২ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৪৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য যান কলকাতা এবং বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে অর্থনীতিতে অনার্সসহ স্নাতক পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাঠ শেষ করে তিনি চলে এসেছিলেন নিজ শহর রাজশাহীতে। চলতে থাকে রাজনীতি। পুনরায় ভর্তি হন রাজশাহী কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিতে স্নাতক ছেলেটি এবার পড়াশোনা শুরু করেন আইন নিয়ে। রাজশাহী কলেজ যে বছর আইন বিভাগ খোলে, সে বছর প্রথম ব্যাচেই অর্থাৎ ১৯৫৬ সালে, তিনি এখান থেকেই লাভ করেন বিএল ডিগ্রি। শুরু করেন আইন পেশা। প্রসার লাভ করেন আইন পেশায়।

রাজনীতিঃ তিনি বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের রাজশাহী জেলা শাখার সম্পাদক হন ১৯৪২ সালে। বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন ১৯৪৩-৪৫ সাল পর্যন্ত। ১৯৫৬ সালে কামারুজ্জামান আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালে পরপর দু’বার এএইচএম কামারুজ্জামান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬-দফার সময় তিনি ৬-দফা আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন। পরের বছর ১৯৬৭ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হন। আইয়ুব সরকারের নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১-দফা দাবির সমর্থনে ১৯৬৯ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পুনরায় তিনি রাজশাহী থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন কামারুজ্জামান। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কামারুজ্জামান। শেখ মুজিবুর রহমান ১৮৭৩ সালে নির্বাচন দিলে এ সাধারণ নির্বাচনে তিনি রাজশাহীর দুটি সদর গোদাগাড়ি ও তানর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে তিনি মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

মৃত্যুঃ ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাত্রিতে অন্য চার জাতীয় নেতার সঙ্গে তাকে হত্যা করা হয়।

Captain M Mansur Ali (মোঃ মনসুর আলী)




Muhammad Mansur Ali (Bengali: মোঃ মনসুর আলী; 1919 – November three, 1975) was a Bangladeshi politician who was a detailed intimate of tribal sheikh Mujibur Rahman, the initiation leader of East Pakistan. A senior leader of the Awami League, Mansur additionally served because the Prime Minister of East Pakistan in 1975.

Captain M Mansur Ali (1919-1975) attorney, politician. Captain M Mansur Ali was born in 1919 at village Kuripara in Kazipur thana of Sirajganj District. He obtained graduation from Calcutta Islamia school, MA in political economy and academic degree from Aligarh Muslim University. He joined Pabna District Court Bar in 1951.

Mansur Ali was the vice-president of Pabna District muslim league from 1946 to 1950. He received coaching at Jessore bivouac as a captain in PLG in 1948. Since then he was wide referred to as Captain Mansur. However, his active political life began together with his connection the Awami Muslim League in 1951. He was nonappointive member of the central govt committee of the party and was additionally the president of its Pabna district unit. He was inactive in 1952 whereas organising the language movement in Pabna.

Mansur Ali was nonappointive a member of the East Bengal legislature in 1954 as a candidate of alinement. He was the Minister of Law and Parliamentary Affairs, Food and Agriculture, Commerce and business within the coalition cupboard in East Bengal headed by ataur rahman khan (1956). once the promulgation of jurisprudence in 1958 he was inactive underneath Safety Act and unbroken confined until 1959. 

Mansur Ali vie a vital role within the movement on Six-point Programme of Bangabandhu tribal sheikh mujibur rahman. He was nonappointive a member of the Provincial Assembly from Pabna in 1970. He was the minister of finance within the cupboard of East Pakistan Government in exile, and vie very important role in organizing the War of Liberation. once independence, Mansur Ali was the Minister for Communication, so the Minister for Home Affairs and Communication within the cupboard of Bangabandhu tribal sheikh Mujibur Rahman. In 1973, he was nonappointive a member of the National Assembly, and a member within the Awami League Parliamentary Party. He was created the Prime Minister once the introduction of one-sided presidential type of government in 1975. He was the Secretary General of East Pakistan krishak sramik awami league (BAKSAL).

Captain Mansur Ali went on activity in real time once the killing of Bangabandhu tribal sheikh Mujibur Rahman on fifteen August 1975. Having captured power khondakar mostaq ahmad enclosed a number of his Awami League colleagues in his cupboard. however Mansur Ali and 3 alternative national leaders refused to affix the cupboard, and were therefore inactive on twenty three August 1975. Mansur Ali and 3 alternative leaders, syed nazrul islam, tajuddin ahmad and ahm qamaruzzaman, were unbroken confined within the national capital Central Jail wherever they were viciously killed on three November 1975.

মোহাম্মদ মনসুর আলী (১৯১৯-১৯৭৫)

মোহাম্মদ মনসুর আলী সিরাজগঞ্জ জেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের ‘কুড়িপাড়া’ গ্রামে ১৯১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম ছিল হরফ আলী সরকার।

পড়াশোনাঃ পড়াশোনা শুরু করেন কাজিপুরের গান্ধাইল হাই স্কুলে। এরপর চলে আসেন সিরাজগঞ্জ বিএল হাই স্কুলে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এখান থেকেই। এরপর চলে যান পাবনা। ভর্তি হন এডওয়ার্ড কলেজে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এই কলেজ থেকেই। শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় জায়গির থেকে পড়াশোনা করেছেন মনসুর আলী। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৪১ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

এরপর ভর্তি হন আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯৪৫ সালে এখান থেকেই অর্থনীতিতে এমএ এবং ল’ পাস করেন। এলএলবিতে প্রথম শ্রেণী লাভ করেন।

১৯৪৪ সালে তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ির আমির উদ্দিন সরকারের সাত কন্যা ও পাঁচ পুত্র সন্তানের এক কন্যা আমেনা খাতুনকে বিয়ে করেন। তার শ্বশুর ছিলেন মুন্সেফ। তিনি চাইতেন জামাই চাকরি করুক। জজ হোক। কিন্তু তিনি চাকরি করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি স্বাধীন পেশা ওকালতিকেই পরবর্তী সময়ে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন। ১৮৫১ সালে আইন ব্যবসা শুরু করেন পাবনা জেলা আদালতে। আইনজীবী হিসেবে তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যক্তি। পাবনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সভাপতিও ছিলেন তিনি।

রাজনীতিঃ আলীগড় থেকে দেশে ফেরার পর তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সাথে। মুসলিম লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এই নবীন আত্মসচেতন ব্যক্তি। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ছিলেন পাবনা জেলা মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি। ১৯৪৮ সালে তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণ নেন এবং পিএলজির ক্যাপ্টেন পদে অধিষ্ঠিত হন। এ সময় থেকেই তিনি ক্যাপ্টেন মনসুর নামে পরিচিত হতে থাকেন। ১৯৫১ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন। জড়িয়ে পড়েন সক্রিয় রাজনীতিতে। আওয়ামী মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন এবং দলের পাবনা জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন তিনি। এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন মনসুর আলী। আবদুল্লাহ আল মাহমুদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এরপর যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙে যায়।

১৯৫৬ সালে আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় পূর্ববঙ্গ কোয়ালিশন সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক, খাদ্য ও কৃষি এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন তিনি। ১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তিনি প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন করেন। পাবনা-১ আসন থেকে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৩ সালের সাত মার্চের নির্বাচনে মনসুর আলী পুনরায় পাবনা-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ বছর তিনি আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি দলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) সেক্রেটারি জেনারেলও ছিলেন এ সময় ক্যাপ্টেন মনসুর। মৃত্যু : ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে অন্য চার জাতীয় নেতার সঙ্গে তাকে হত্যা করা হয়।

Tajuddin Ahmed (তাজউদ্দীন আহমদ)




Tajuddin Ahmad (Bengali: তাজউদ্দীন আহমদ) (July twenty three, 1925 – November three, 1975) was a Bangladeshi solon and insurgent. He served because the initial Prime Minister of Asian country|Bangla Desh|East Pakistan|Asian country|Asian nation} and lead the period of time probationary Government throughout the Bangladesh Liberation War in 1971. Ahmad is thought to be one in every of the foremost potent and instrumental figures within the birth of Asian nation, because of his leadership of the probationary government in 1971, during which he united the varied political, military and cultural forces of Bangladeshi nationalism.

A close confidant of swayer Mujibur Rahman, Ahmad was the final Secretary of the Awami League within the late Nineteen Sixties and early Nineteen Seventies. He coordinated the League’s election campaign for the Pakistani election, 1970, during which the League gained a historic parliamentary majority to make government. Ahmad, along side Mujib and Dr. Kamal Hossain, LED negotiations with President Yahya Khan and Zulfikar Ali Bhutto for the transfer of power to the nonappointive National Assembly.

Tajuddin (1925-1975) professional, politician, and therefore the initial Prime Minister of Asian nation. Tajuddin Ahmed was born in 1925 at village Dardaria in Kapasia thana of Gazipur District. He obtained admittance in 1942, I.A in 1948, and B.A (Hons) in political economy from national capital University in 1953. He obtained degree in 1964. Tajuddin Ahmed joined politics terribly early in his life. He drawn the liberal section of the muslim league since 1943 and took active half within the Pakistan Movement.

He was concerned altogether progressive movements of the country, as well as the language movement, the movement for economic freeing of the individuals, and anti-communal movement. He resigned from the Muslim League in protest against its anti-people politics. He was one in every of the founders of the East geographic region Chhatra League supported in 1948, and was amongst people who floated the Awami Muslim League in 1949. He was a member of the All Party Language Movement Committee, and was in remission and detained throughout the movement.

Tajuddin Ahmed was a founder-member of the Asian country Juba League, and was a member of its govt committee from 1951 to 1953. He was the final secretary of national capital district unit of Awami Muslim League. Tajuddin Ahmed was nonappointive a member of Asian country Provincial Assembly in 1954 as a candidate of the coalition, however was in remission below section 92A within the same year. In 1955, he was nonappointive secretary for cultural affairs and financial aid of the awami league.

After the promulgation of jurisprudence within the county in 1958, the Awami League was illegal, and Tajuddin Ahmed was detained for a few year. He participated within the democracy restoration movement union by the National Democratic Front headed by huseyn martyr suhrawardy against military rule of ayub khan, and was confined another time. He contend a significant role in revitalising the Awami League in 1964, and was nonappointive organising secretary of the party. He was in remission once more in Gregorian calendar month 1964, and was free the subsequent year. He actively participated within the election campaign of 1965 in favour of Fatema national leader, the presidential candidate of the combined opposition party. Tajuddin Ahmed was nonappointive general secretary of the Awami League in 1966. He joined the convention of the opposition parties command in city as a member of the Awami League delegation (1966). throughout the Six-point Movement he was in remission below the security Act and was unbroken confined. The mass upsurge compelled the Pakistan government to unleash him in 1969. He participated within the spherical Table Conference at metropolis convened by Ayub Khan to resolve the crisis between the govt. and therefore the opposition parties, as a member of the Awami League delegation. He was nonappointive member of the National Assembly in 1970.

The Awami League got overwhelming majority within the election in 1970. however the rulers of Pakistan denied the decision of the individuals. Consequently, associate new non-cooperation began in Asian country below the leadership of swayer mujibur rahman. Tajuddin Ahmed was one in every of the organisers of the movement. He left national capital for India on twenty five March 1971 once the Pakistan army started its mass killing. He became the Prime Minister of the Asian nation government in exile at Mujibnagar and union the war of liberation. once the liberation of Asian nation Tajuddin Ahmed came back on twenty two Dec 1971 and have become Prime Minister of the fresh freelance state. within the subsequent cupboard fashioned below swayer Mujibur Rahman, Tajuddin Ahmed was answerable of the Ministry of Finance, and so of Finance and coming up with. As a member of the constitution framing committee he contend a significant role in framing the constitution of Asian nation. He was nonappointive member of the jatiya sangsad in 1973 and was enclosed within the cupboard. However, he resigned from the cupboard in 1974 as per direction of swayer Mujibur Rahman. With the assassination of Bangabandhu swayer Mujibur Rahman on fifteen August 1975, the political scenario modified and Tajuddin Ahmed was in remission on twenty three August. He was savagely killed within national capital Central Jail on three November, along side 3 alternative national leaders specifically syed nazrul islam, ahm qamaruzzaman, and m mansur ali.

Tajuddin Ahmed was a detailed associate of Bangabandhu swayer Mujibur Rahman, the designer of Asian nation, and contend a big role within the institution of freelance and sovereign Asian nation. Himself a dedicated follower of non-sectarian progressive politics, Tajuddin Ahmed contend a big role within the Bangali nationalist movement. He devoted himself to the service of distressed humanity throughout his life having been connected with the Boy Scout Movement.

তাজউদ্দীন আহমদ (১৯২৫-৭৫)

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে ১৯২৫ সালে তার জন্ম গ্রহণ করেন। তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৪৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৪৮ সালে আইএ এবং ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন। রাজনীতিক ও আইনজীবী তাজউদ্দীন আহমদ পবিত্র কোরানে হাফেজও ছিলেন।

ছাত্রজীবন থেকেই তাজউদ্দীন আহমদ সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত হন। ১৯৪৩ সাল থেকে তিনি মুসলিম লীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর মুসলিম লীগ সরকারের গণবিচ্ছিন্ন রাজনীতির প্রতিবাদে তিনি এ দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের (১৯৪৯) অন্যতম উদ্যোক্তা। তিনি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগের (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তিনি ভাষা আন্দোলনকালে গ্রেফতার হন এবং কারা নির্যাতন ভোগ করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত এ সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে কাপাসিয়া থেকে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছরই তিনি ৯২-ক ধারায় গ্রেফতার হন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক শাসন জারির পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে তাজউদ্দীন আহমদ গ্রেফতার হন এবং ১৯৫৯ সালে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৬২ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তিনি কারাবরণ করেন। ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পর তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরে এপ্রিলে তিনি গ্রেফতার হন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (১৯৬৫) সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৬-দফা আন্দোলনের সময় দেশরক্ষা আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনে তিনি দলের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন। রাজনৈতিক বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে বিরোধী দল ও সরকারের মধ্যে আলোচনার জন্য রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান কর্তৃক আহূত গোলটেবিল বৈঠকে (১৯৬৯) তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

পাকিস্তান সরকার সত্তরের নির্বাচনের গণরায়কে কার্যত অস্বীকার করে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় এবং তাজউদ্দিন আহমদ এ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকবাহিনী গণহত্যা শুরু করলে তিনি ঢাকা ত্যাগ করে ভারত গমন করেন। ১০ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে তিনি এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। মুক্তিবাহিনীর জন্য অস্ত্র সংগ্রহ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভের ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং সদ্য স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলে (১৯৭২) তাজউদ্দীন আহমদ প্রথমে অর্থ এবং পরে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি সংবিধান প্রণয়নে বিশিষ্ট ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা-২২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে এবং ২৩ আগস্ট তাজউদ্দীন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় ৩ নভেম্বর অপর তিন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং মুনসুর আলীর সঙ্গে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৪২ সাল থেকে আজীবন বয়স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে আর্তমানবতার সেবায় নিবেদিত ছিলেন।